আমাদের চোখ কিভাবে কালার দেখতে সাহায্য করে

আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য আমাদের চোখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আর এই উপভোগ তখনি সম্পূর্ণ অর্থবোধক হয় যখন আমরা আলোর সাহায্যে চারপাশের কালারকে দেখতে পাই। চলুন, দেখে আসা যাক আমাদের চোখ কিভাবে কালার দেখতে সাহায্য করে।

ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম: ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম উচ্চ-শক্তির এক্স-রে থেকে শুরু করে রেডিও তরঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত । মানুষের চোখ দ্বারা দেখা সম্ভব এমন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম হলো দৃশ্যমান আলো। এই দৃশ্যমান আলোর কারণেই আমরা সূর্যাস্তের রঙ, রংধনুর উজ্জ্বলতা এবং লাইট বাল্বের আভাকে উপভোগ করতে পারি।

তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং কালার: আলোকে তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। মানুষের জন্য, দৃশ্যমান বর্ণালী তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 400 ন্যানোমিটার (ভায়োলেট) থেকে 700 ন্যানোমিটার (লাল) পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের চোখ ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যেকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে পারে না, বরং সম্মিলিত তরঙ্গদৈর্ঘ্যেকে আমাদের চোখ ভিন্ন ভিন্ন কালার হিসাবে চিহ্নিত করতে পারে। যেমন লাল, সবুজ এবং নীল।

কালার অনুভূতির সীমাবদ্ধতা: আমাদের অসাধারণ ভিজ্যুয়াল সিস্টেম সত্ত্বেও, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে । যেমন:

হিউ পার্থক্য: আমাদের চোখ সবচেয়ে স্পষ্টভাবে হিউ পার্থক্য বুঝতে পারে। গোলাপের লাল রঙ হোক বা আকাশের নীলকান্তমণি, আমাদের মস্তিষ্ক বিভিন্ন বর্ণের পার্থক্য করতে পারদর্শী।

ক্রোমা (স্যাচুরেশন): ক্রোমা একটি রঙের তীব্রতা বা বিশুদ্ধতা বোঝায়। যদিও আমরা ক্রোমার পার্থক্য অনুভব করি, তবুও বলা যায় তা হিউ পার্থক্যের মতো অতটা শক্তিশালী নয়।

লাইটনেস এবং ডার্কনেস: আমাদের চোখ সবচেয়ে কম লাইটনেস এবং ডার্কনেস এর পার্থক্য অনুভব করতে পারে।

Share:
Scroll to Top