প্রথম দুই পর্বে আমরা লাইটসোর্স এবং অবজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পোস্টে আমরা অবসার্ভার কন্ট্রোলের মাধ্যমে কিভাবে ল্যাব ডিপ রিজেকশন কমানো যায় তা আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।
১. ৪৫° এঙ্গেল এ কালার দেখার প্রাকটিস করুন। প্রয়োজনে লাইট বক্সের সাইজের একটি এঙ্গেল বোর্ড বানিয়ে নিতে পারেন।
২. লাইট সোর্সের আলোর তীব্রতা – লাক্স সম্পর্কে সচেতন থাকুন। মিনিমাম ১০০০ রাখুন।
৩. ডার্ক কালার দেখার জন্য অধিক লাক্স সম্পন্ন লাইটের নিচে কালার দেখুন। ২০০০ লাক্স হলে ভালো হয়।
৪. লাইট কালার গুলো কম লাক্স এ দেখলেও অসুবিধা নেই।
৫. ১০০০ ঘণ্টার বেশি কোন লাইট ব্যবহার করবেন না।
৬. চারপাশে কোন উজ্জ্বল আলো রেখে কালার দেখবেন না।
৭. ব্রাইট কালার যেমন রেড, ফ্লোরোসেন্ট কালার দেখার সাথে সাথে অন্য কালার দেখবেন না। কিছুক্ষণ পরে দেখুন।
৮. একটানা ১০-১২ টির বেশি কালার দেখবেন না। এতে করে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়।
৯. রাতের শিফটে কাজ করলে ভোরের দিকে কালার ভুল দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাবধানে থাকবেন। ঘনগণ চোখে মুখে পানি দিবেন।
১০. হিউ টেস্ট করে আপনার দুর্বল জোন সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে ওই জোনের কালার পাশ দেয়ার সময় অধিক সতর্ক থাকতে পারবেন।
১১. যদি লাইট বক্সে কালার না দেখেন তবে আপনার চারপাশের কালার (যেমন দেয়াল) গ্রে কালার (মুনসেল N8, N7) করে রাখুন।
এই সিরিজের পূর্বের পোস্টগুলো লিংক দেওয়া হল:
Part-01: https://colorscienceacademy.com/reducing-color-lab-dip-rejection-light/
Part-02: https://colorscienceacademy.com/reducing-color-lab-dip-rejection-object/